সিংহবাহিনী মন্দির, পাইকপাড়ি (ডেবরা) বাংলায় হিন্দু দেবমন্দিরশৈলীর মুখ্য চারটি ধারা-- দালান, শিখর, রত্ন এবং চালা।চালা মন্দিরের উদ্ভব হয়েছিল বাংলারই সুত্রধরদের হাতে। সেই রীতিরই একটি হল-- ' জোড়- বাংলা ' মন্দির। এই রীতির বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত কৃষ্ণরায়জীউর মন্দিরটির কথা আমরা সকলেই জানি। পূর্ববাংলায়ও অনেকগুলি জোড়- বাংলা মন্দির নির্মিত হয়েছিল।কিন্তু মেদিনীপুর জেলাতেও যে অন্তত ছ'টি মন্দির নির্মিত হয়েছিল, আমাদের অনেকের অজানা। একটি জোড়-বাংলা মন্দির নির্মিত হয়েছিল ডেবরা থানায়, পাইকপাড়ি গ্রামে। মাত্র দুশ বছরের আগেই সেই মন্দির সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত। কঙ্কালটুকু ছাড়া আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নাই তার। সেই অবলুপ্তপ্রায় মন্দির নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা। ডেবরা থানার পাইকপাড়ি গ্রাম। এর সাথে জড়িয়ে আছে এক রাজার নাম। তিনি মুকুট নারায়ন রায়। লোকশ্রুতি বলে, তিনি এসেছিলেন সুদূর রাজপুতানা থেকে। পুরুষোত্তম ক্ষেত্র পুরীতে জগন্নাথ দর্শন সেরে, ফেরার পথে বাংলায় মেদিনীপুর জেলায় ঢোকেন। কেদারকুন্ড পরগনা পার হওয়ার সময়, কুলদেবী বাশুলীর আদেশ পেয়ে, সেখানেই বসতি করে থেকে যান। ইতিহাসেও উল্লেখ আছে মুকুট নারায়ণের। তবে এক